সংগঠন এবং এনার্কিজম বা নিরাজবাদ

যারা কর্তৃত্ববাদি দল করেন বা দল থেকে আসেন তাঁদের এটা ভাবতেই কষ্ট হয় যে ‘কোন রকম’ সরকার ছাড়া চলবে কেমন করে ! তাঁরা তখনই চিন্তা করতে থাকে থাকেন আর সিদ্বান্ত নিয়ে বসেন, ‘নিরাজবাদ বা এনার্কিজম কোন সংগঠনে বিশ্বাসী নয়’। কিন্তু সরকার মানেই হল কিছু লোক, আর সংগঠন হল একটি বিষয়। এক ধরনের বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে, বিরোধীরা ‘ নিজেদের সংস্থা গড়তে না পেরে অন্যদের সংগঠন ভেঙ্গে ফেলা হয়’, এই ধরনের চিন্তা ধারা প্রায়স বিপদজনক হয়ে উঠে, দলের চেয়ে পদসোপানের গুরুত্ব প্রবল হয়ে উঠে, ফলে মানুষের ব্যাক্তিগত স্বাধীনতাকে হত্যা করা হয়।

Submitted by akmshihab on April 12, 2018

সংগঠন এবং এনার্কিজম বা নিরাজবাদ

এ কে এম শিহাব

যারা কর্তৃত্ববাদি দল করেন বা দল থেকে আসেন তাঁদের এটা ভাবতেই কষ্ট হয় যে ‘কোন রকম’ সরকার ছাড়া চলবে কেমন করে ! তাঁরা তখনই চিন্তা করতে থাকে থাকেন আর সিদ্বান্ত নিয়ে বসেন, ‘নিরাজবাদ বা এনার্কিজম কোন সংগঠনে বিশ্বাসী নয়’। কিন্তু সরকার মানেই হল কিছু লোক, আর সংগঠন হল একটি বিষয়। এক ধরনের বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে, বিরোধীরা ‘ নিজেদের সংস্থা গড়তে না পেরে অন্যদের সংগঠন ভেঙ্গে ফেলা হয়’, এই ধরনের চিন্তা ধারা প্রায়স বিপদজনক হয়ে উঠে, দলের চেয়ে পদসোপানের গুরুত্ব প্রবল হয়ে উঠে, ফলে মানুষের ব্যাক্তিগত স্বাধীনতাকে হত্যা করা হয়।

এটা স্বীকার না করার কোন উপায় নেই যে, উপযুক্ত স্থানে উপযুক্ত মানুষের সমাহার না হলে সত্যিকার নিরাজবাদি সংস্থা গড়ে তুলা যায় না, দুনিয়ার নানা স্থানে হয়ত গণতান্ত্রিক কিছু সংগঠন গড়ে উঠেছে আবার স্বৈরতান্ত্রিক সংস্থার ও জন্ম হয়েছে, এই গুলো আবার পদসোপানদারী বা উদারনৈতিক সংস্থা হতে পারে - তবে তা নিরাজবাদি নয়, এটা প্রমানিত যে সংগঠন হবে অবশ্যই নিচে থেকে উপরের দিকে চালিত সংগঠন। তার অন্যতা হবে না । কেন্দ্র থেকে দলীয় প্যাডে কমিটি তৈরী করে পাঠিয়ে দিলে তা হবে হাস্যকর।

অনেক ট্রেড ইউনিয়ন আছে, বিশেষ করে যারা পুঁজিবাদী ব্যবস্থার সাথে মিশে সুশৃংখল ভাবে কার্যক্রম চালায়, তাঁদের মাঝে ও পদসোপানের চর্চা বিদ্যমান; কিন্তু দেখতে হবে তাঁরা কত সংখ্যক শ্রমিককে সুশৃংখল করে রাখতে পেরেছেন ? তাঁরা যদি তালিকা ভুক্ত হয়ে থাকেন তবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে ই হবে। নইলে তালিকা থেকে নাম কাঠিয়ে বা বাতিল করে বেড়িয়ে আসতে হবে। তাঁদেরকে অবশ্যই স্বাধীনভাবে আসতে দিতে হবে, সকল হুমকি ধমকির বিলয় ঘটাতেই হবে। যখন ফ্যাসিবাদের প্রভাব বেড়ে যায় তখন শ্রমিকের মর্যাদা নিচে নেমে আসে, সেই পরিস্থিতিতে মালিক পক্ষের স্বাধীনতা ও স্বার্থ বৃদ্বি পায় এবং বহাল থাকে। নাজিবাদ কেবল অল্প সংখ্যক পুজিপতির স্বাধীনতা ও স্বার্থ সীমিত আকারে বজায় রেখে শ্রমিকদের আশা আকাংখাকে গুড়িয়ে দিয়েছিল। কেবল মাত্র পরিবর্তনকামী ইউনিয়ন সমূহই শিক্ষা নিয়েছে কি ভাবে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রন হ্রাস করে সত্যিকার গমানুষের আন্দোলন সংগ্রাম বহাল রাখতে পারে, তা হোক আনুস্টানিক বা অনানুস্টানিক প্রক্রিয়ায়, সেই সকল ক্ষেত্রে প্রায় সকল সিদ্বান্তই গ্রহন করা হয়েছে মাঠে ময়দানে বা তৃনমূল পর্যায়ে।

Comments

Related content