কর্মক্ষেত্র শ্রমিদের নিয়ন্ত্রন রাখা প্রসঙ্গ

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রন কায়েম প্রসঙ্গে যারা বলেন, পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অধীনে ও কর্ম ক্ষেত্র ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকদের অংশগ্রহন করা দরকার বা ব্যবস্থাপনায় তাঁদের প্রাধান্য প্রতিস্টা করা প্রয়োজন সেই প্রসঙ্গে আমাদের ভিন্ন মতামত ও বক্তব্য আছে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় স্ব-ব্যবস্থাপনার ধারনা একটি উল্লেখযোগ্য সংস্কার মূলক বিষয়, তবে এই ধরনের কাজ কোন কোন সময় বাস্তবায়ন সহজ হয়, বাহিরের হস্তক্ষেপ থাকলে অনেক ক্ষেত্রে তা আবার সমস্যার ও সৃষ্টি করে থাকে ।

Submitted by akmshihab on April 14, 2018

কর্মক্ষেত্র শ্রমিদের নিয়ন্ত্রন রাখা প্রসঙ্গ

এ কে এম শিহাব

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রন কায়েম প্রসঙ্গে যারা বলেন, পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অধীনে ও কর্ম ক্ষেত্র ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকদের অংশগ্রহন করা দরকার বা ব্যবস্থাপনায় তাঁদের প্রাধান্য প্রতিস্টা করা প্রয়োজন সেই প্রসঙ্গে আমাদের ভিন্ন মতামত ও বক্তব্য আছে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় স্ব-ব্যবস্থাপনার ধারনা একটি উল্লেখযোগ্য সংস্কার মূলক বিষয়, তবে এই ধরনের কাজ কোন কোন সময় বাস্তবায়ন সহজ হয়, বাহিরের হস্তক্ষেপ থাকলে অনেক ক্ষেত্রে তা আবার সমস্যার ও সৃষ্টি করে থাকে । তবে তা কোন ভাবেই সিন্ডিক্যালিজমের সাথে তালগুল পাকাবার অবকাশ নেই। তবে সিন্ডিক্যালিজমের সাথে একটি বিষয়ে মিল আছে আর তা হলো আগামী দিনের সমাজ হবে স্ব শাসিত প্রকৃতির।

আমরা শ্রমিকদের কোন প্রকার প্রাধান্য চাই না, এমন কি তাঁদের প্রতিনিধিদের প্রাধান্য ও নয়। শিল্পকে ছোট ছোট খন্ডে ভাগ করে পরিচালনা করা কে আমরা সমর্থন করি। ‘জাতীয়করনের’= রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রন নীতি আমরা সমর্থন করি না । আমাদেরকে অবশ্যই ব্যাক্তির স্বাধীনতাকে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে, কোন ভাবেই শ্রেনীগত বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া যাবেনা । এমন কি প্রয়োজন হলে কোন অলস ব্যাক্তিকে ক্ষধার্থ ও রাখতে হবে। তবে এসবের কিছুই সমাজ পরিবর্তন করতে পারেনা । স্ব-নিয়োজিত কর্মী ও কারিগর সমাজের লোকেরা প্রুধুর সময়ের মত আর গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন না ( হয়ত এই প্রক্রিয়া নয়া সমাজের উত্থান ঘটাবে)। কেহ হয়ত খুশি হয় তাঁর পছন্দমত কাজ পেয়ে, আবার কেহ হয়ত খুশি হয় তাঁর চাহিদামত বেতন বা মজুরী পেয়ে। কিন্তু পরিবর্তত সমাজে যেন সকলেই তাঁদের চাহিদা মেটানোর মত কাজ পায় তা নিশ্চিত করা জরুরী।

আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখতে আচ্ছি মানুষ স্ব-নিয়ন্ত্রিত পেশা পছন্দ করেন। এখন বিভিন্ন দেশে বড় বড় শিল্প কারখানা গুলো বন্দ্বকরে দিচ্ছে, শাসক শ্রেনী মনে করছে পুঁজিবাদের জন্য এখন আর এসকল শিল্পের দরকার নেই। মুল ধারার পুঁজিবাদের বাহিরে যারা আছেন তাদেরকে একত্রিত করার একটা মওকা তৈরি হচ্ছে, তা আমরা কাজে লাগাতে পারি, যদি আমরা আমাদের কর্মে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হই। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার পুনঃ ফিরে আসার কারন গুলো পূর্ববর্তী অবস্থা থেকে উদঘাটন করা এখন দরকার হয়ে পড়েছে, যেন এনার্কু – সিন্ডিক্যালিজম বিনির্মানে তা কাজে লাগানো যায় ।

Comments

Related content