ইহা একটি বহুল জিজ্ঞাসিত, আলোচিত বিষয়। বিপ্লব হবে কেমন করে ? এক কথায় উত্তর হলো, ‘ইহা আমরা কেহই আগে বলিত পারিব না’। এর উত্তর আমাদের জানা নেই । যখন বিপ্লব নিজের পরিস্থিতি সৃজন করবে – ১৯৩৬ এবং ১৯৬৮ সালে ফ্রান্সে যেমন কারখানা দখল করেছিলো বিপ্লবী শ্রমিক শ্রেনীর লোকেরা। এমন ঘটনা ঘটেছিলো স্পেনে ও ১৯৩৬ সালে। তখন ফ্যাসিবাদের ও উত্থান হয়।
![](https://files.libcom.org/files/styles/small_wide/public/images/library/1456586407.jpg?itok=x-TkVY_A)
বিপ্লব আসিবে কেমনে ?
এ কে এম শিহাব
ইহা একটি বহুল জিজ্ঞাসিত, আলোচিত বিষয়। বিপ্লব হবে কেমন করে ? এক কথায় উত্তর হলো, ‘ইহা আমরা কেহই আগে বলিত পারিব না’। এর উত্তর আমাদের জানা নেই । যখন বিপ্লব নিজের পরিস্থিতি সৃজন করবে – ১৯৩৬ এবং ১৯৬৮ সালে ফ্রান্সে যেমন কারখানা দখল করেছিলো বিপ্লবী শ্রমিক শ্রেনীর লোকেরা। এমন ঘটনা ঘটেছিলো স্পেনে ও ১৯৩৬ সালে। তখন ফ্যাসিবাদের ও উত্থান হয়। ১৯১৭ সালে রাশিয়ার সেনাবাহিনী যেমন ভেঙ্গে পড়েছিলো। এই রকমের ঘটনা আরো অনেক ঘটেছে। আমরা সেই পরিস্থিতির প্রতিক্ষায় প্রহর গুনছি। অনেক সময় শ্রমিক শ্রেনীর লোকেরা প্রস্তুত থাকে না বা “আহত বাঘ”কে ছেড়ে দেয়, রাষ্ট্রপন্থী লোকেরা সেই সুযোগ ভয়ঙ্কর ভাবে কাজে লাগায় । বিপ্লব আসলেই ব্যাক্তিদের উদ্যোগ যা সমাজের গভীরে ঝলক তৈরী করে দেয়। যদি এই রূপ অবস্থার সৃষ্টি হয় তবে একটি সচেতন আন্দোলন সকল পুরাতন ধ্যান ধারনা ও শৃঙ্খল ভেঙ্গে চূড়ে মুক্ত সমাজের পানে ধাবিত হয়। আর তাকেই বলা যায় সামাজিক বিপ্লব। আজ দুনিয়ার প্রায় অর্ধেক মানুষ নানা ভাবে জর্জড়িত হবার কারনে সামনের দিকে এগোতে চায়। তাঁরা নিপিড়নের শিকার। কিন্তু তাঁদের পক্ষে কোন শক্তিশালী সামরিক শক্তি নেই। এমন কি শিল্প শ্রমিকদের সংগঠিত শক্তি ও নেই। যারা বিপ্লবীদের হেফাজত করতে পারে। অন্য অর্ধেক দুনিয়ার মানুষ যারা পুঁজিবাদের উপকার ভোগী বা কেনা গোলাম। যাতের প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করার কোন ইচ্ছাই নেই। তাঁরা নিরবে নিপিড়নকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ।
Comments