মার্কসবাদ-লেনিনবাদ তাঁদের বিপ্লবের সুরক্ষার জন্য গড়ে তুলে লাল ফৌজ। তাঁরা পার্টির নিয়ন্ত্রনে পুরাতন সৈনিকদের নিয়েই লাল পতাকা হাতে দিয়ে ‘লাল’ ফৌজ গড়ে তুলেন। আমরা সকলেই দেখেছি এই ফৌজ কেমন করে জনগণের উপর নিপিড়ন নির্যাতনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিলো।

শ্রমিকদের সুরক্ষা
এ কে এম শিহাব
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ তাঁদের বিপ্লবের সুরক্ষার জন্য গড়ে তুলে লাল ফৌজ। তাঁরা পার্টির নিয়ন্ত্রনে পুরাতন সৈনিকদের নিয়েই লাল পতাকা হাতে দিয়ে ‘লাল’ ফৌজ গড়ে তুলেন। আমরা সকলেই দেখেছি এই ফৌজ কেমন করে জনগণের উপর নিপিড়ন নির্যাতনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিলো। তাঁরা ঠিক আগের মতই জাতীয়তাবাদি ধারার সৈনিক ছিলো কেবল পতাকা বদল করেন। এরা আগের চেয়ে ও নির্মম ও জগন্য অত্যাচার করেছে সাধারন মানুষের উপর।
সেনা বাহিনী গঠন করলে তাঁরা শ্রমিকদের মিলিশিয়া ও বিপ্লবকে ধ্বংস করে দিবে (স্পেন-১৯৩৬)। চে গুয়েভারা এক ধরনের রুমান্টিক ধারনার জন্ম দেন, যা ছিলো লাল ফৌজ হবে কৃষকদের অগ্রসর অংশ নিয়ে গঠিত সেনাবাহিনী- তিনি মাখনোভিস্ট (ইউক্রেইন-১৯১৭) এবং যাপাতিস্তা/ম্যাগোনিস্টা (মেক্সিকান-এনার্কিস্ট) ইত্যাদির ধারনা থেকে পার্টির বুদ্বিজীবীদের নিয়ন্ত্রনে কৃষকদের স্বার্থ বিরুধী সেনাবাহিনী গঠনের কথা বলেন । প্রথম দিকে উৎসাহের কারনে সাফল্য দেখা গেলেও পরে যখন নিয়ম তান্ত্রিক নেতৃত্ব গ্রহন করা হয়, তখন নেতারা অন্যত্র চলে যান ।
নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য এনার্কো-সিন্ডিক্যালিস্ট শ্রমিকগন প্রয়োজনে নিজেরাই হাতে অস্ত্র তুলে নিবে, এবং একেই লক্ষ্যে তাঁরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসারে মিলিশিয়া বাহিনী তৈরি করবেন। এই ধরনের কাজের জন্য হয়ত দরকার পড়বে সুদক্ষ নেতৃত্বের তাই, নন কমিশন এমন কি সার্জেন্ট পর্যন্ত পদ রাখা যেতে পারে। সেখানে কোন প্রকার অফিসার রাখা যাবে না যারা একক ভাবে হুকুম দিতে পারে। তবে নির্দেশনা নানা পর্যায়ে পৌঁছে দেবার জন্য ব্যবস্থা রাখা হবে ।
সামরিক জ্ঞানের কথা কিছু তথাকথিত রাজনৈতিক ও সামরিক বিশেষজ্ঞ প্রায়স বিতরণের চেষ্টা করেন, কিন্তু আমরা বলছি শ্রমজীবী মানুষ সকল কিছুই তাঁদের স্বার্থে ব্যবহার করবেন। যদি একটি ক্ষুদ্র জাতি ও এই পদ্বতী অনুসরন করে সাফল্য অর্জন করেন তবে তাঁরা নাগরিক বা গনবাহিনী গড়ে তুলবেন- যাকে বলা যায়, অপেশাদারী সেনা সদস্য। যারা শান্তির সময়ে নিজের রাইফেল ঘরে ঝুলিয়ে রেখে স্ব স্ব কাজে নেমে পড়বেন আর যখনই জাতীর দরকারে ডাক পড়বে সাথে সাথে ময়দানে অস্ত্র নিয়ে হাজির হয়ে যাবেন । এর উদাহর হলো ইসরায়েল এবং দক্ষিন আফ্রিকা। তাঁরা জাতীয় স্বার্থে সদা তৎপর রয়েছেন । তাঁরা চলমান আন্তর্জাতিক শ্রেনী স্বার্থে কাজ করে না । তাঁদের বাহিনীতে সকল প্রকার পদ পদবী গণতান্ত্রিক ভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে । তথাকথিত ‘বিশেষজ্ঞ’ দের দৌড়াত্ব নেই ।
Comments