অহিংসতার বানী প্রচারে অগ্রনী হলো এলিট বা অভিজাত শ্রেনীর লোকেরা, এরা গান্দ্বিজির সত্যগ্রাহীর নামে লোকদেরকে কখন ও শক্তি প্রয়োগ করে, নয়ত নীতি কথা শুনিয়ে উপযুক্ত কাজ থেকে বিরত রাখে। সাধারনত দেখা যায়, কট্টর শান্তিপন্থী লোকেরা কোন সত্যিকার বিপ্লবী আন্দোলনকে ও অস্বীকার করে পিছিয়ে যায়। কোন সাম্রাজ্যবাদি আক্রমন বা স্বৈরাচারী সরকারের অপকর্মকে ও শান্তির নামে সমর্থন দিয়ে ফতোয়া প্রচার করতে থাকে।
অহিংসতা
এ কে এম শিহাব
এনার্কিজম বা নিরাজবাদের আওতায় কি শান্তিবাদের জয়গা আছে? ভূয়া এনার্কিস্টরা শান্তিবাদের শ্লোগান তুলে থাকে, অনেক ক্ষেত্রে দরকারের সময়ে ও এদেরকে কোন প্রকার কার্যকরী ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহন করতে যায় না, তথাকথিত শান্তিবাদিরা ( অতিরিক্ত অহিংস, এবং সেনাশাসনের বিরুদ্বেও কথা বলেনা) কতৃর্ত্ববাদি চক্র। অহিংসতার বানী প্রচারে অগ্রনী হলো এলিট বা অভিজাত শ্রেনীর লোকেরা, এরা গান্দ্বিজির সত্যগ্রাহীর নামে লোকদেরকে কখন ও শক্তি প্রয়োগ করে, নয়ত নীতি কথা শুনিয়ে উপযুক্ত কাজ থেকে বিরত রাখে। সাধারনত দেখা যায়, কট্টর শান্তিপন্থী লোকেরা কোন সত্যিকার বিপ্লবী আন্দোলনকে ও অস্বীকার করে পিছিয়ে যায়। কোন সাম্রাজ্যবাদি আক্রমন বা স্বৈরাচারী সরকারের অপকর্মকে ও শান্তির নামে সমর্থন দিয়ে ফতোয়া প্রচার করতে থাকে।
আমরা এখন দেখছি, ইসরায়েল এবং ভারত উভয়ই শান্তির আদর্শ বিষয়ে চমৎকার জ্ঞান অর্জন করেছেন; শান্তিবাদি, অহিংস দেশ সমূহ এখন পারমানবিক বোমা নির্মান করেছে, জাতি সংঘের প্রেরনা ও তাঁরা পেয়েছে; শান্তির সুরক্ষায় শান্তি-প্রিয় মানুষের জন্য হয়ত সঠিক কিন্তু বাণিজ্যিক ও উপনিবেশ স্থাপনের জন্য তাঁর ব্যবহার অবশ্যই জগন্য কর্ম। সাম্প্রতিক সময়ে স্পেনের প্রতিরোধ সংগ্রামে এনার্কিস্টদের শান্তি প্রিয় ভূমিকা অনেকে সমর্থন করেন নাই ( যদি ও অনেকেই নিজেদেরকে অহিংস বলে দাবী করে)। তাঁদের কথা হলো অনেকই জাতীয়তাবাদি আন্দোলনে “সহিংস” হতে মানুষ দ্বিধা করে না ।
এটা সত্য যে এনার্কিস্ট বা নিরাজবাদিরা এমন কোন কথা বলছে না যা তাঁদের নীতি র চেয়ে কৌশল প্রাধান্য পায়। যেখানে অত্যাচারিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত হয়ে ও মানুষ অহিংসার নামে নির্লিপ্ত থেকে যাবে। তবে এই বক্তব্যের সাথে টলস্টয়বাদি চিন্তার সাথে মিলিয়ে বিভ্রান্ত হবার সুযোগ নেই। তিনি মনে করতেন এনার্কিস্টরা যা করেন তা সবই সঠিক বিপ্লবের জন্য বা লক্ষ্য অর্জনের জন্য সব কিছুই করা যায়। টলস্টয় ভাবতেন অহিংস ভাবে বিপ্লব হয় না । তিনি অন্যায়ের প্রতিরোধের কথা বলতেন। তিনি বলতেন অন্যায়ের প্রতিরোধ না হলে সভ্যতা মরে যাবে।
অনেকেই বলেন শান্তিবাদি ধারনার বিকাশ ঘটিয়েছে আংলো-আমেরিকান গ্রুপ সমূহ, তবে ব্রিটেনে এই বিষয়ের ধারনাটাই ছিলো খুব বাজে ধরনের, তাঁরা আইনী প্রক্রিয়ায় রাস্ট্রের সাথে সংলাপে রাজি ছিলো। কিন্তু যে সকল দেশে সেনা শাসনের প্রধান্য সেখানে কি করা যাবে, রাজনৈতিক কর্মকান্ডই তো নিষিদ্ব। শান্তিবাদের অর্থ এই নয় যে অতিরিক্ত অহিংসতাবাদি হয়ে উঠতে হবে ।
Comments