সরকারের দক্ষতা ও অদক্ষতার উপর ভিত্তি করে জরিপের ফলাফল নির্ধারন করা হয়। বাজেট প্রনয়ন করা হয়। যা প্রায়সই ভুলভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে এতে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন খুবই কম হয়ে থাকে। প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চাহিদা চূড়ান্ত করনের পর জাতীয় সম্পদের বিভাজন করে জনগণের জন্য পরিকল্পনা ঠিক করা হয়। এই ভাগাভাগীর ক্ষেত্রে শ্রেনী স্বার্থের বিষয়টি উপেক্ষিত নয়। প্রায়স আওয়াম জনগণ তাঁদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন।
এনার্কিস্ট সমাজে মজুরী প্রথা ও আর্থিক ব্যবস্থার বিলুপ্তি
এ কে এম শিহাব
“সমাজতন্ত্র” এখন এমন একটি বিভ্রান্তি মূলক শব্দে পরিণত হয়েছে যে, সংস্কারবাদি এমন কি ইতিবাচক প্রতিবিপ্লবী দল উপদল সমূহ ও এখন একনায়কত্বের পরিবর্তে স্বাধীন শব্দমালা ব্যবহার করছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো একটি সমাজতান্ত্রিক সমাজে মজুরী দাস প্রথা বিলুপ্ত ও আর্থিক ব্যবস্থার বাতিল করতেই হবে। কেননা, একটি সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী দলের প্রধান লক্ষ্যই হোল একটি সমাজের শ্রমজীবী মানুষকে তাঁদের মজুরী দাস প্রথা থেকে মুক্ত করা । অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং মজুরী দাস প্রথা একে অন্যের সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত, তা ভেঙ্গে দিতেই হবে। একটি সাম্যবাদি সমাজে বিপ্লবের পর কিছু সংস্কার করে মজুরী ও লেনদেনে পরিবর্তন করা যেতে পারে। তবে আর্থিক অবস্থা বহাল থাকলে লেনদেনকে প্রভাবিত করে সামাজিক শোষনকে বহাল করতে সহায়ক হবে। মজুরী হচ্ছে সমাজের নির্ধারিত এমন একটি বিধান যা একজন লোককে তাঁর কাজে ধরে রাখে। তা অনেক সময় ন্যায় সংগত না ও হতে পারে। এই ধরনের ব্যবস্থাকে বিদায় করা উচিৎ। বর্তমানে প্রায় সারা দুনিয়ায় অন্যায় ব্যবস্থা চালু আছে, সরকার এবং কিছু প্রতিস্টান জাতীয় সম্পদের পরিমাপ জড়িপ করে থাকে। পারস্পরিক লেনদেনের জন্য ব্যাংক নোট ছাপায়, কয়েন তৈরী করে, এবং কিছু প্রতিস্টান ঋন প্রদান করে থাকে। সরকারের দক্ষতা ও অদক্ষতার উপর ভিত্তি করে জরিপের ফলাফল নির্ধারন করা হয়। বাজেট প্রনয়ন করা হয়। যা প্রায়সই ভুলভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে এতে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন খুবই কম হয়ে থাকে। প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চাহিদা চূড়ান্ত করনের পর জাতীয় সম্পদের বিভাজন করে জনগণের জন্য পরিকল্পনা ঠিক করা হয়। এই ভাগাভাগীর ক্ষেত্রে শ্রেনী স্বার্থের বিষয়টি উপেক্ষিত নয়। প্রায়স আওয়াম জনগণ তাঁদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। যাই হোক, সাধারণত সামাজিক রীতিনীতি, ঐতিহ্য, সরকারী নীতিমালা, অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা, চাপ প্রয়োগের ক্ষমতা, ট্রেড ইউনিয়ন এবং ধর্মঘট ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে অনেক ক্ষেত্রে মজুরী নির্ধারিত হয়ে থাকে। জাতীয় পর্যায়ে স্ব স্ব প্রভাব প্রতিপত্তি ও সামর্থের উপর নির্ভর করে নিজেদের অধিকার অর্জন করে থাকে কর্মজীবী শ্রমজীবী জনগণ। যদি সময় মত চাপ প্রয়োগ করা না হয়, বা নিরব থাকা হয় তবে মনে রাখতে হবে আপনার ভাগের টুকরো অন্যের পাতে চলেও যেতে পারে। সরকার তাঁর ইচ্ছেমত আপনার ভাগ্য নির্ধারন করে দিবে । তাই সকলেরই স্ব স্ব জায়গা থেকে নিজের অধিকার নিয়ে আওয়াজ তোলার বিকল্প নেই । নিরাজবাদি সমাজে মানুষ নিজেই নিজেদের ভাগ্য নির্ধারনের অবারিত সুযোগ পাবেন। তখন অন্যের খেয়াল খুশির উপর আর নির্ভর করে থাকতে হবে না ।
Comments